দেশের গণতন্ত্র ও অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী : প্রধানমন্ত্রী

উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দেশবাসীর সহায়তা চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল গণভবনে ইফতার পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং দেশের অর্থনীতিও এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। তিনি বলেন, আমরা সব ক্ষেত্রেই এখন এগিয়ে গিয়েছি এবং আমাদের গণতন্ত্রও এখন শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত, সেইসঙ্গে আমাদের অর্থনীতিও এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। যে চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে যেন আমরা উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে পারি, সে লক্ষ্য নিয়েই আমি কাজ করছি। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। এ জন্য দেশবাসীর সহায়তা চাই। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্মানে আয়োজিত ইফতারের আয়োজন করেন। প্রতি বছর ইফতারে তিনি বক্তৃতা না করলেও গতকাল ছিল ব্যতিক্রম। বিকাল ৬টায় গণভবনের পশ্চিম মাঠে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে টেবিল ঘুরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন। এরপর মঞ্চে উঠে মাইক নিয়ে প্রথমে আগত অতিথিদের মাহে রমজান এবং আসন্ন ঈদুল ফিতরের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর দল ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে যে দিনবদলের সনদ ঘোষণা করেছিল সেই সনদ অনুযায়ী তাঁর সরকারের বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপের ফলে মানুষের দিনবদল  শুরু হয়ে গেছে। যে স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু।  বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে এসেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পরমাণু বিশ্বে আমাদের প্রবেশ ঘটেছে এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উেক্ষপণের মাধ্যমে আমরা মহাকাশেও পৌঁছে গেছি।  তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এই অগ্রগতির ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে। যে চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে যেন আমরা উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে পারি।  তিনি বলেন, বাংলাদেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত হয়েছে। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করে দিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যেই আমি কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) চেয়ারম্যান পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বিএনএ চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা প্রমুখ। পরে ইফতারের আগে দেশ-জাতি এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে ’৭৫ এর ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং সেদিনের সব শহীদ, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মাহুতি দানকারীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।

আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠন, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিক লীগ, ১৪ দলীয় জোট, শেখ রাসেল শিশু কিশোর সংসদ ও সদস্যগণ ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।